দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের সফর। ১০৬ রানের মামুলি লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকা পেরিয়ে যায় মাত্র ২২ ওভারে, যা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সেশনেও নিয়ে যেতে দেয়নি।
শেষ দিনে বাংলাদেশ তাদের হাতে থাকা ৩ উইকেট নিয়ে আর মাত্র ২০ রান যোগ করতে পেরেছিল। আগের দিনের ২৮৭ রানের সাথে মিলিয়ে দলটি ৩০৭ রানে অলআউট হয়। দিনের প্রথম ওভারেই কাগিসো রাবাদার এলবিডব্লিউ বলে নাঈম ইসলাম আউট হন, যা ছিল রাবাদার টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫তম ৫ উইকেটের মাইলফলক। এরপর ভিয়ান মুল্ডারের বলে তাইজুল ইসলাম ক্যাচ তুলে দেন দ্বিতীয় স্লিপে, এবং শেষ ব্যাটার হিসেবে মিরাজ রাবাদার শিকার হয়ে ফিরলে বাংলাদেশ ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
মেহেদি হাসান মিরাজ বাংলাদেশের ইনিংসে একমাত্র উজ্জ্বল দিক হিসেবে ছিলেন। ৮৭ রানে দিন শুরু করা মিরাজ এদিন মাত্র ১০ রান যোগ করে ১৯১ বলে ৯৭ রানের ইনিংসে থামেন। তার ইনিংসে ১০টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল।
বাংলাদেশের ৩০৭ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ছিল ১০৬ রান। শুরুতে বাংলাদেশ দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে পারত, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার, এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি, শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন। তাইজুল ইসলাম এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন, পরে টনি ডি জর্জিও তাইজুলের বলে আউট হন। ৯৭ রানে ডেভিড বেডিংহাম কট বিহাইন্ড হন, কিন্তু তখন ম্যাচের ফলাফল প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে ভেঙে দেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মহারাজও ১০৫ রানে ৩টি উইকেট নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে এবং বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ১০৬ রানের জবাব দেয়।